মেহেদির ওপর নাম হেনা. হেনা মানব সমাজের জন্য এক প্রকৃতির অনবদ্য দান। হেনার ভেষজ গুনাগুন সহস্র বর্ষের প্রাচীন।
মেহেদির ওপর নাম হেনা. হেনা মানব সমাজের জন্য এক প্রকৃতির অনবদ্য দান। হেনার ভেষজ গুনাগুন সহস্র বর্ষের প্রাচীন। এর রয়েছে এন্টিফাঙ্গাল, এন্টি-ইনফ্লেমেটরী, কুলিং ও হিলিং, এন্টিইরিটেন্ট ও সিডেটিভ গুণাগুণ। অত্যান্ত উপকারি ভেষজ হেনার পাতা ও ফুল হতে আহরিত তেল অনেক চর্ম -মলম তৈরির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। চামড়ায় ক্ষত, পোড়া ও চামড়ার ফ্যাকাসে হলুদ দাগ চিকিৎসায় অত্যান্ত কার্যকরী ঔষধ হিসাবে ব্যবহার হয়। স্কেবিস, চর্মের চুলকানি জাতীয় ও নখের ফাটার চিকিৎসায় হেনা পেস্ট ব্যবহার হয়। দেহ হতে পানি হ্রাস প্রতিরোধ করে; আবার ময়েশ্চার ধারণের ফলে কোন অঙ্গ স্ফিতীর রোধে এক প্রকার ডিসল্ভিং ফ্যাক্টর গঠনে কাজে লাগে। মাথাব্যাথা, জ্বর ও ভিটামিন-বি এর ঘাটতি জনিত পায়ের পাতার জ্বালা-পোড়ার ক্ষেত্রে দেহের তাপমাত্রা কমিয়ে স্বস্তি প্রদান করতে পারে। মাথার টাকের চিকিৎসার সহায়ক। হেনার পাতা দিয়ে গরম করা সরিষার তেল চুলের স্বাস্থ্যবান বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। এক্ষেত্রে ২৫০ গ্রাম সরিষার তেল একটি পাত্রে সিদ্ধ করার সময় ৬০ গ্রাম হেনা পাতা ক্রমান্বয়ে যোগ করা হয়; তারপর একটি কাপড় দিয়ে ছেঁকে বোতলে সংরক্ষণ করা হয়। আমাশয়ের চিকিৎসায় এর বীজের পাওডারের সাথে ঘি মিশিয়ে সেবন করা যায়। লিভারের বিভিন্ন জটিলতা যেমন- লিভারের বৃদ্ধি ও জন্ডিসের চিকিৎসায় এর বাকল ব্যবহার করা যায়। এর ফুলের পেস্টের সাথে ভিনেগার মিশিয়ে কপালে প্রয়োগ করলে রৌদ্রজনিত কারণে মাথা ব্যাথার উপশম হয়। গলা ব্যাথা উপশমে হেনা পাতা দিয়ে গরম করা পানি দিয়ে কুলকুচা করা যায় বা আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করা যায়। অস্থির জোড়ায় প্রদাহ, ফোলা ও থেতলে যাওয়া অঙ্গে পাতার পেস্ট স্থানীয়ভাবে প্রয়োগ করা যায়।
মেহেদি ফুল, ফল ও পাতা শূল রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। জন্ডিস হলে মেহেদি গাছের মূল আতপ চাল ধোয়া পানি দিয়ে ঘষে ২ চা চামচ ৮ থেকে ১০ দিন সকালে ও বিকালে খেলে ৪ থেকে ৫ দিনেই রোগী আরোগ্য লাভ করে। ঔষধ খাওয়ার সময় ডাবের পানি ও আখের রস খেলে আরো ভাল কাজ করে। মেহেদি পাতার রস ১ চা চামচ করে দিনে ২বার পানি বা দুধ এবং তার সঙ্গে একটু চিনি মিশিয়ে খেলে ১ সপ্তাহের মধ্যে শরীরের নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়। মেহেদি পাতার রস ও সরষের তেল মিশিয়ে মালিশ করলে ব্যথা কমে। এমনকি গরুর ঘাড়ে ব্যথা হলে এই গাছের পাতা বেটে গরম করে লাগিয়ে দিলে উপকার পাওয়া যায়। ঘামে দুর্গন্ধ হলে মেহেদি পাতা সিদ্ধ করে গোসল করলে উপকার পাওয়া যায়। এ পাতার রস গরম করে ২ ফোঁটা করে কানে দিলে ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে কানের পুঁজ পড়া বন্ধ হয়। পাতা পিষে গরম পানিতে ফেলে রেখে সেটা ছেকে নিয়ে সেই পানি চোখের কোণায় দিলে চোখের নানা সমস্যা সেরে যায়। এমনকি যাদের চোখের কোণ থেকে পুঁজের মত পড়ে তাদেরও কাজ দেয়।
মেহেদি ফুল, ফল ও পাতা শূল রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। জন্ডিস হলে মেহেদি গাছের মূল আতপ চাল ধোয়া পানি দিয়ে ঘষে ২ চা চামচ ৮ থেকে ১০ দিন সকালে ও বিকালে খেলে ৪ থেকে ৫ দিনেই রোগী আরোগ্য লাভ করে। ঔষধ খাওয়ার সময় ডাবের পানি ও আখের রস খেলে আরো ভাল কাজ করে। মেহেদি পাতার রস ১ চা চামচ করে দিনে ২বার পানি বা দুধ এবং তার সঙ্গে একটু চিনি মিশিয়ে খেলে ১ সপ্তাহের মধ্যে শরীরের নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়। মেহেদি পাতার রস ও সরষের তেল মিশিয়ে মালিশ করলে ব্যথা কমে। এমনকি গরুর ঘাড়ে ব্যথা হলে এই গাছের পাতা বেটে গরম করে লাগিয়ে দিলে উপকার পাওয়া যায়। ঘামে দুর্গন্ধ হলে মেহেদি পাতা সিদ্ধ করে গোসল করলে উপকার পাওয়া যায়। এ পাতার রস গরম করে ২ ফোঁটা করে কানে দিলে ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে কানের পুঁজ পড়া বন্ধ হয়। পাতা পিষে গরম পানিতে ফেলে রেখে সেটা ছেকে নিয়ে সেই পানি চোখের কোণায় দিলে চোখের নানা সমস্যা সেরে যায়। এমনকি যাদের চোখের কোণ থেকে পুঁজের মত পড়ে তাদেরও কাজ দেয়।