তুলসীপাতা বাঙালী এবং ভারতীয়দের কাছে খুবই চেনা একটি গাছের পাতা। তুলসীপাতা পুজোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
তুলসীপাতা বাঙালী এবং ভারতীয়দের কাছে খুবই চেনা একটি গাছের পাতা। তুলসীপাতা পুজোর জন্য ব্যবহৃত হয়। কিন্তু তুলসীপাতা আপনাকে বহু অসুখ থেকে রক্ষা করে আপনাকে এই আবহাওয়ার পরিবর্তনের বিভিন্ন সংক্রামক রোগ থেকে বাঁচিয়ে রাখবে। তাই জেনে নিনি তুলসীপাতার কিছু মহার্ঘ্য উপকার।
জ্বরঃ
তুলসীপাতা সবথেকে বেশি যে অসুখের হাত থেকে আপনাকে রক্ষা করবে তা হল জ্বর। চায়ে তুলসীপাতা সেদ্ধ করে সেই পাণীয় যদি পান করেন, তবে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু প্রভৃতি অসুখ থেকে রক্ষা পেতে পারেন। আপনার পরিবারের কারুর জ্বর হলে তাকে তুলসীপাতা এবং দারুচিনি মেশানো ঠান্ডা চা পান করালে জ্বর সেরে যাবে দ্রুত।
গলার ব্যাথাঃ
সামান্য গরম জলে তুলসীপাতা দিয়ে সেদ্ধ করে নিয়ে, সেই জল দিয়ে গার্গল করলে বা জল পান করলে আপনার গলার ব্যাথা দ্রুত সেরে যাবে।
সর্দি ও কাশিঃ
সর্দি-কাসি প্রায় প্রত্যেকটি মরসুমের খুব সাধারণ একটি অসুখ যা সবাইকে সমস্যা দেয়। এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে গেলে তুলসীপাতা ৫ মিনিট চিবিয়ে রসটি গিলে নিন। তাহলে এই সমস্যার হাত থেকে সহজেই সমাধান পেয়ে যাবেন।
ত্বকের সমস্যাঃ
মাঝে মধ্যেই ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা আপনাকে জর্জরিত করে তোলে। ত্বকে বিভিন্ন মরসুমে বিভিন্ন ধ্রনের সমস্যা দেখা যায়। সেই সমস্যা সমাধানের একটি সহজ ও অন্যতম উপায় হল তুলসীপাতার পেস্ট লাগান। তুলসীপাতার পেস্ট তৈরি করে তা ত্বকে লাগালে এই সমস্যাগুলি কমে যায়।
কিডনির সমস্যাঃ
তুলসীপাতা আপনার কিডনীর বেশ কিছু রোগের সমাধান করে দিতে পারে। তুলসীপাতার রস প্রতিদিন একগ্লাস করে পান করলে, কিডনীতে স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে। যদি কিডনীতে স্টোন জমে যায় তবে তুলসীপাতার রস টানা ৬ মাস পান করলে সেই স্টোন মূত্রের সঙ্গে বেরিয়ে যায়।
তুলসীর স্বাস্থ্যগুন:
»চর্মরোগে তুলসী পাতা দূর্বাঘাসের ডগার সংগে বেটে মাখলে ভালো হয়ে যায়।
»উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল কমিয়ে হূৎপিণ্ডের রক্ত সরবরাহের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
»হাড়ের গাঁথুনিতে ব্যথা দূর করে এবং শরীরের কাটাছেঁড়া দ্রুত শুকাতে অবদান রাখে।
»ঠাণ্ডা মৌসুমে ছোট বাচ্চাদের তুলসির পাতা খাওয়ালে কৃমি দূর হবে এবং মাংসপেশি ও হাড় হবে শক্তিশালী।
»জ্বর হলে পানির মধ্যে তুলসী পাতা, গোল মরিচ এবং মিশ্রী মিশিয়ে ভাল করে সেদ্ধ করে নিন ৷ অথবা উপরিউক্ত তিনটে দ্রব্য মিশিয়ে বড়ি তৈরি করুন ৷ দিনের মধ্যে তিন-চার বার ঐ বড়িটা পানি দিয়ে সেবন করুণ । জ্বর খুব তাড়াতাড়ি সেরে যাবে।
»কাশি হলে তুলসী পাতা এবং আদা একসাথে পিষে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খান ৷ এতে উপকার পাবেন ৷
»ডাইরিয়া হলে ১০ থেকে বারোটি পাতা পিষে রস খেয়ে ফেলুন।
»মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে দিনে ৪-৫ বার তুলসী পাতা চেবান ।
»আপনার শরীরে যদি কোনরকম ঘা যদি থাকে তাহলে তাহলে তুলসী পাতা এবং ফিটকিরি একসঙ্গে পিষে ঘা এর স্থানে লাগান।
»শরীরের কোন অংশ যদি পুড়ে যায় তাহলে তুলসীর রস এবং নারকেলের তেল ফেটিয়ে লাগান, এতে জ্বালাপোড়া কমে যাবে। পোড়া জায়গাটা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে এবং পোড়া দাগ ওঠে যাবে।
»প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর করতে হলে তুলসী পাতার রস ২৫০ গ্রাম দুধ এবং ১৫০ গ্রাম জলের মধ্যে মিশিয়ে পান করুন । তুলসি গাছের বীজও যথেষ্ট উপকারী। এর বীজ শুকিয়ে মিহি করে খেলে প্রস্রাবের ইনফেকশনজনিত সমস্যা ভালো হয়। পুরুষত্বহীনতা দূরীকরণে এই পাতার অবদান অপরিহার্য।
»যদি কখনও বমি কিংবা মাথা ঘোরা শুরু করে, তাহলে তুলসী রসের মধ্যে গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
»সকালবেলা খালি পেটে তুলসী পাতা চিবিয়ে রস পান করলে খাবার রুচী বাড়ে।
»নিয়মিত তুলসীর রস পানে হৃদরোগেও উপকার পাওয়া যায়।
»চোখের সমস্যা দূর করতে রাতে কয়েকটি তুলসী পাতা পানিতে ভিজিয়ে রেখে ওই পানি দিয়ে সকালে চোখ ধুয়ে ফেলুন।
»তেজস্ক্রিয়তার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ কোষসমুহকে মেরামত করে।
»তুলসী একশেরও বেশি Phytochemicals বহন করে বলে ক্যান্সার চিকিত্সারয় ব্যবহৃত হয়।
»তুলসীর অ্যালকোহলিক নির্যাস Immune system এর রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে।
»শ্বসনতন্ত্রের বিভিন্নরোগ যেমন ব্রঙ্কাইটিস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, হাঁপানি প্রভৃতি রোগের নিরাময়ক।
»দাঁতের রোগে উপশমকারী বলে টুথপেস্ট তৈরিতে ব্যবহার করা হয
জ্বরঃ
তুলসীপাতা সবথেকে বেশি যে অসুখের হাত থেকে আপনাকে রক্ষা করবে তা হল জ্বর। চায়ে তুলসীপাতা সেদ্ধ করে সেই পাণীয় যদি পান করেন, তবে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু প্রভৃতি অসুখ থেকে রক্ষা পেতে পারেন। আপনার পরিবারের কারুর জ্বর হলে তাকে তুলসীপাতা এবং দারুচিনি মেশানো ঠান্ডা চা পান করালে জ্বর সেরে যাবে দ্রুত।
গলার ব্যাথাঃ
সামান্য গরম জলে তুলসীপাতা দিয়ে সেদ্ধ করে নিয়ে, সেই জল দিয়ে গার্গল করলে বা জল পান করলে আপনার গলার ব্যাথা দ্রুত সেরে যাবে।
সর্দি ও কাশিঃ
সর্দি-কাসি প্রায় প্রত্যেকটি মরসুমের খুব সাধারণ একটি অসুখ যা সবাইকে সমস্যা দেয়। এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে গেলে তুলসীপাতা ৫ মিনিট চিবিয়ে রসটি গিলে নিন। তাহলে এই সমস্যার হাত থেকে সহজেই সমাধান পেয়ে যাবেন।
ত্বকের সমস্যাঃ
মাঝে মধ্যেই ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা আপনাকে জর্জরিত করে তোলে। ত্বকে বিভিন্ন মরসুমে বিভিন্ন ধ্রনের সমস্যা দেখা যায়। সেই সমস্যা সমাধানের একটি সহজ ও অন্যতম উপায় হল তুলসীপাতার পেস্ট লাগান। তুলসীপাতার পেস্ট তৈরি করে তা ত্বকে লাগালে এই সমস্যাগুলি কমে যায়।
কিডনির সমস্যাঃ
তুলসীপাতা আপনার কিডনীর বেশ কিছু রোগের সমাধান করে দিতে পারে। তুলসীপাতার রস প্রতিদিন একগ্লাস করে পান করলে, কিডনীতে স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে। যদি কিডনীতে স্টোন জমে যায় তবে তুলসীপাতার রস টানা ৬ মাস পান করলে সেই স্টোন মূত্রের সঙ্গে বেরিয়ে যায়।
তুলসীর স্বাস্থ্যগুন:
»চর্মরোগে তুলসী পাতা দূর্বাঘাসের ডগার সংগে বেটে মাখলে ভালো হয়ে যায়।
»উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল কমিয়ে হূৎপিণ্ডের রক্ত সরবরাহের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
»হাড়ের গাঁথুনিতে ব্যথা দূর করে এবং শরীরের কাটাছেঁড়া দ্রুত শুকাতে অবদান রাখে।
»ঠাণ্ডা মৌসুমে ছোট বাচ্চাদের তুলসির পাতা খাওয়ালে কৃমি দূর হবে এবং মাংসপেশি ও হাড় হবে শক্তিশালী।
»জ্বর হলে পানির মধ্যে তুলসী পাতা, গোল মরিচ এবং মিশ্রী মিশিয়ে ভাল করে সেদ্ধ করে নিন ৷ অথবা উপরিউক্ত তিনটে দ্রব্য মিশিয়ে বড়ি তৈরি করুন ৷ দিনের মধ্যে তিন-চার বার ঐ বড়িটা পানি দিয়ে সেবন করুণ । জ্বর খুব তাড়াতাড়ি সেরে যাবে।
»কাশি হলে তুলসী পাতা এবং আদা একসাথে পিষে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খান ৷ এতে উপকার পাবেন ৷
»ডাইরিয়া হলে ১০ থেকে বারোটি পাতা পিষে রস খেয়ে ফেলুন।
»মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে দিনে ৪-৫ বার তুলসী পাতা চেবান ।
»আপনার শরীরে যদি কোনরকম ঘা যদি থাকে তাহলে তাহলে তুলসী পাতা এবং ফিটকিরি একসঙ্গে পিষে ঘা এর স্থানে লাগান।
»শরীরের কোন অংশ যদি পুড়ে যায় তাহলে তুলসীর রস এবং নারকেলের তেল ফেটিয়ে লাগান, এতে জ্বালাপোড়া কমে যাবে। পোড়া জায়গাটা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে এবং পোড়া দাগ ওঠে যাবে।
»প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর করতে হলে তুলসী পাতার রস ২৫০ গ্রাম দুধ এবং ১৫০ গ্রাম জলের মধ্যে মিশিয়ে পান করুন । তুলসি গাছের বীজও যথেষ্ট উপকারী। এর বীজ শুকিয়ে মিহি করে খেলে প্রস্রাবের ইনফেকশনজনিত সমস্যা ভালো হয়। পুরুষত্বহীনতা দূরীকরণে এই পাতার অবদান অপরিহার্য।
»যদি কখনও বমি কিংবা মাথা ঘোরা শুরু করে, তাহলে তুলসী রসের মধ্যে গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
»সকালবেলা খালি পেটে তুলসী পাতা চিবিয়ে রস পান করলে খাবার রুচী বাড়ে।
»নিয়মিত তুলসীর রস পানে হৃদরোগেও উপকার পাওয়া যায়।
»চোখের সমস্যা দূর করতে রাতে কয়েকটি তুলসী পাতা পানিতে ভিজিয়ে রেখে ওই পানি দিয়ে সকালে চোখ ধুয়ে ফেলুন।
»তেজস্ক্রিয়তার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ কোষসমুহকে মেরামত করে।
»তুলসী একশেরও বেশি Phytochemicals বহন করে বলে ক্যান্সার চিকিত্সারয় ব্যবহৃত হয়।
»তুলসীর অ্যালকোহলিক নির্যাস Immune system এর রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে।
»শ্বসনতন্ত্রের বিভিন্নরোগ যেমন ব্রঙ্কাইটিস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, হাঁপানি প্রভৃতি রোগের নিরাময়ক।
»দাঁতের রোগে উপশমকারী বলে টুথপেস্ট তৈরিতে ব্যবহার করা হয